> আপনি যদি সেই বিখ্যাত আড্ডা (যেটি কিনা অনেক গুণি মানুষের এই লিস্ট ত্যাগের > কারণ এবং বহু বিতর্কের জন্মদাতা) এর আগের আর্কাইভ দেখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন এই > মেইলিং লিস্টে কোন সমস্যা ছিল না। একজন মানুষ এসে বিভিন্ন ঝামেলা এবং অকারণ > কোলাহল সৃষ্টি করলে অভিজ্ঞরা বিরক্ত হতেই পারেন। আর একজন মানুষ দিনের পর দিন > মাসের পর মাস উত্যক্ত করলে চুপ করে বসে থাকা সম্ভব না। >
বাংলাদেশের লিনাক্স কমিউনিটি (বিশেষ করে উবুন্টু বিডি মেইলিং লিস্ট) কিছু সত্যিকারের জ্ঞানী মানুষের দেখা পেয়েছিল যারা নিঃস্বার্থভাবে মানুষের উপকার করেছেন । অনেকেই আছেন, অনেকেই নেই । আমি একটা জিনিস খুব মিস করি - যা জানি সেটার উত্তর দেওয়া, যেটা সম্পর্কে জানি না, সেটা নিয়ে কথা না বলাই ভাল । হাতুড়ে সলিউশন খুব বিরক্তিকর । > > > কেউ মোড়ল হইতে চায় নাই। কেউ যদি নিজে নিজের ভুল স্বীকার করে চুপ চাপ থাকে এবং > টু দ্যা পয়েন্টে উত্তর করে প্রশ্নের (আঁতলামী বাদ দিয়ে) তাহলেই এইগুলা ঝামেলা > আর হয় না। > > নিজের ভুল স্বীকার করা বেশ কষ্টের । আমি নিজের কথাই বলব । ভুল স্বীকার না করে কৌশলে অন্যদিকে টেনে নেওয়ার অভ্যাস ছিল এক সময় । এখন চেষ্টা করি ভুল করলে শুধরে নিতে । মানুষ মাত্রই ভুল করে । ভুল স্বীকার করলে আমার সম্মান কমবে না, আর ভুল স্বীকার না করে টানাটানি করলেও লোকে আমাকে জ্ঞানী ভাববে না । > > আমরা প্রচার প্রসার করি কোন স্বার্থ না দেখেই। তার মানে এই না যে আমরা সবাই > অবতার। আমরা নিতান্তই সাধারণ মানুষ। এক হাত লম্বা অর্থহীন জিনিষপত্রের মহাসচিব > লেখা সিগনেচার ই একজন সাধারণ মানুষকে উত্যক্ত করার জন্য যথেষ্ট। > এই জিনিসগুলো বড়ই বিরক্তিকর । আপনি কত মহান, কত জ্ঞানী তা আপনার সিগনেচারে প্রকাশ পায় না । বরং যারা মেইল পড়ে তাদের বিরক্ত করা হয় । ক্লাসের ফাকে ফাকে মেইল পড়ি মোবাইল ফোনে । প্রচুর স্ক্রোলিং করতে হয় এই অর্থহীন জিনিসগুলো বাদ দিয়ে আসল জিনিস খুজতে । সত্যি বলতে কি তখন মনে মনে তার ১৪ গোষ্ঠী উদ্ধার করি রীতিমত । > > লিনাক্স আমি একা ইউজ করলেও আমি না খেয়ে মরে যাব না, আর সারা বিশ্বের সবাই ইউজ > করলেও আমার কিছু যাবে আসবে না। তাই এইটার প্রচার করি বলে আমাদের আলাদা ভাবে > চিন্তা করার কোন যুক্তি দেখি না। এইটা একটা কার্ণেল। আর কিছু না। > পুরোপুরি সহমত । > > > যাই হোক, Ignorance is bliss. আমরা সবাই যদি জনৈক "Hardware Abstraction > Layer" Enthusiast কে অবজ্ঞা করি সে মনে হয় খুব বেশীদিন আর হম্বি তম্বি করতে > পারবে না। > আমাদের অনেকেরই স্বভাব আছে আমরা যা না, নিজেদের তাই ভাবা । কাউকে উল্লেখ করে কিছু বলব না । তবে আমাদের সবারই নিজেদের দিকে তাকানো উচিৎ । এই থ্রেডটি যা দিয়ে শুরু হয়েছিল আমরা তা থেকে দূরে সরে গেছি । আমাদের সবার আরেকবার অয়ন খানের লেখাটা পড়া উচিৎ বলে মনে করি । যাই হোক প্রশ্ন ছিল লিনাক্স বা উবুন্টুর জন্য এন্টি ভাইরাসের দরকার আছে কি না । এর মধ্যে আমাদের উইন্ডোজ বা ম্যাক কে টেনে আনার কোন দরকার নাই । হ্যা, আপাতদৃষ্টিতে বিশ্বাসযোগ্য সোর্স থেকে সফটওয়্যার ইন্সটল করলে বিপদের সম্ভাবনা কম । তবে লিনাক্সের জন্য ম্যালওয়্যার বানানো যায় না এধরনের কথা অন্ধ বিশ্বাসের ফল । আমি আমার বানানো একটি সফটওয়্যার এ এই কোডটুকু লাগিয়ে দিলাম : "gksudo rm -r /" । আপনি আমাকে বিশ্বাস করেন বা আমার সফটওয়্যারের বিকল্প নাই । আপনি নির্দ্বিধায় এটিকে পারমিশন দিয়ে দিলেন । কি হবে তা অনেকেই আচ করতে পারবেন । এভাবে আপনার পারমিশন নিয়ে আপনার অনেক ডাটাই চুরি করা সম্ভব, ফিশিং ও সম্ভব । যেটা সম্ভব না সেটা হল আপনার অনুমতি ছাড়াই ছড়িয়ে পড়া । মডার্ন অপারেটিং সিস্টেমগুলোর সবগুলোতেই এই ফিচারটি কম বেশি সক্রিয় তবে লিনাক্সে শুরু থেকেই এটা ছিল । এই প্রযুক্তির যাত্রা লিনাক্স (বা আরো আগে ইউনিক্স) থেকেই শুরু হয় । এটাই লিনাক্সের বড় কৃতিত্ব । -- ***Abu Ashraf Masnun | Web Application Engineer | http://masnun.com** * -- Ubuntu Bangladesh https://lists.ubuntu.com/mailman/listinfo/ubuntu-bd