প্রিয় সবাই

বহুসময় ধরে অযথা বাক্যবান ব্যয় করতে দেখছি কাউকে কাউকে। কোনরূপ গঠনমূলক
সমালোচনার বদলে নিজের ব্যক্তিগত মতামত কমিউনিটির উপরে চাপিয়ে দেবার প্রচেষ্টা
আর যৌক্তিকতা না মেনে চলার প্রচেষ্টা দেখে বেশ লাগছে। সাংগঠনিক আলোচনা থেকে
ব্যক্তিগত খোঁচাখুঁচির দিকে মোড় নেয়ানোর চেষ্টাও রয়েছে বেশ। "বিচার মানি, তবে
তালগাছ আমারই" এইরূপ কথাবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু লিখবো না বলে মনস্থির করার
পরেও আর পারা গেলো না। কেননা --

২২ সেপ্টেম্বর, ২০১১ ১১:৪৯ am এ তে, maSnun <mas...@gmail.com> লিখেছে:

> আমি স্পষ্টতই ফ্রি শিপিং এর কথা বলেছিলাম । ফ্রি শিপিং আনলে তারা আপনার শিপিং
> কস্ট দিয়ে দেবে । আমি লিখেছিলাম:
> Yes, they are providing free shipping for you. That is they are paying for
> the shipping. You don't need to pay anything extra as shipping charges.
>
> আশা করি এবার ভুল বোঝাবুঝির নিরসন হবে । শর্তগুলো পালন না করলে আপনাকে অবশ্যই
> শিপিং চার্জ দিতে হবে । কিন্তু আমি শর্ত মেনে ফ্রি শিপিং এর কথা বুঝাতে
> চেয়েছিলাম । বিদেশ থেকে কেউ আনলে নিশ্চই এই জিনিসগুলো মাথায় রেখে বাল্ক অর্ডার
> করবে । একটা ডিভিডি এত দাম দিয়ে কেউ অর্ডার করবে না ।
>

আমাদের দেশে বাল্ক অর্ডার করছে কোন সাধারন ব্যবহারকারীরা বলতে পারেন? তবে এইটা
ঠিক যে শিপইট চালু থাকাকালীন সময়ে মাগনা ডিস্ক ৫-১০-২০-৫০টা অর্ডার করতে কারো
আপত্তি থাকতো না। আবার ওগুলো পাবার পর বছরভর ড্রয়ারে ফেলে রাখতেও মনে দ্বিধা
করতো না।

আমার ধারনা ছিল এই কমিউনিটিতে সবাই অযথা বেগার খাটে । আমার মত যারা অলস কিংবা
> অসচেতন তারা অনলাইনে বসে থাকে । আমাদের দেশে আরো অনেক ইভেন্ট হয় । আগেও
> লিনাক্সের নানা ইভেন্ট হয়েছে । কোনদিন দেখিনি ইভেন্ট আয়োজকরা এভাবে বার বার
> তাদের পরিশ্রমের কথা জাহির করেছেন । এইভাবে বোধহয় সমবেদনা পাওয়া যায় না ।
>

এফএসএফ বা ফ্রী সফটওয়্যার ফাউন্ডেশনের সাইট থেকে একটু পড়াশুনা করে আসুন।
সফটওয়্যার ফ্রীডম আর প্রাইসলেস সফটওয়্যার বিষয়ে একটু জ্ঞান হবে। আর আপনার কাছে
সমবেদনা চেয়েছে কে, কবে? নিজেকে হুট করে অতটা মহান ভাবার চেষ্টা করবেন না।


> আপনার এই কথা শুনে আমার যেটা বলতে ইচ্ছা হচ্ছিল তা হল - "আপনাকে বেগার খাটতে
> কে বলেছে?" । কিন্তু সেটি বললে আবার দেশ, মাটি, মা অনেক কিছু নিয়ে কথা হবে যার
> সাথে "বনের মোষ তাড়ানো" কথাটার সঙ্গতি থাকবে না । তাই আর এই কথাটি বললাম না ।
>

আমরা স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক। তবে স্বাধীনতার অর্থটুকু বোঝায় ঘাটতি রয়েই
গেছে আজো অবদি। আর তাই এইরূপ কথা শোনার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকিই। কেননা
........ কি না বলে, আর ............. কি না ...?


> আগে আমিও নিজের পয়সায় সেধে সেধে মানুষকে ফ্রি ডিভিডি দিতাম । একটা ডিভিডির দাম
> ১৫টাকা । আমি ভার্সিটিতে বন্ধু বান্ধব নিয়ে আড্ডা দিতে গেলেও তার চেয়ে বেশী খরচ
> হয় । তবে এখন আর সেধে দেই না । কেউ চাইলে দেই ।
>

কেন ভাই। আপনি তো পারতেন আপনার আউটসোর্সিং আয়ের খাত থেকে ভর্তুকি দিয়ে
প্রজেক্টটাকে ম্যাসিভ করতে। কোন সমস্যাই তো হতো না। টাকা আছে, আপনি আছেন, দেশে
সিডি/ডিভিডি তৈরীর কোম্পানী আছে আর এতজন স্বেচ্ছাসেবী তো রয়েইছেন। তাই না?


>  আপনারা টাকার বাইরে কিছু চিন্তা করতে পারছেন না কেন? আগে তো এক সময় ডিভিডি
> বিনিময় কর্মসূচী ছিল । সেটা উঠে গিয়ে এখন এসেছে সিডি ডিভিডি বিক্রি । এটার
> সূচনা কোথায় ? বন্টু-মিন্টুর আড্ডায় নাকি আরো আগে?
>

আগে শিপইট থেকেও মাগনা দিতো, এখন দেয় না। কেন দেয়না জিজ্ঞেস করে দেখুন। উত্তর
পেয়ে যাবেন।

বন্টু-মিন্টু'র আড্ডার আগে যে সিডি-ডিভিডি বিতরন কর্মসূচী ছিলো সেখানে হয় ইউজার
নিজে সিডি/ডিভিডি নিয়ে আসতো নইলে মূল্য দিতে হতো। হার্ডওয়্যারের মূল্য ছিলো না
এমনটা কিন্তু কখনোই নয়। বন্টু-মিন্টু'র আড্ডাতে টি-শার্টের স্টলও কিন্তু ছিলো
এবং সেখানে মূল্যের বিনিময়েই ওগুলো সরবরাহ করা হয়েছিলো। মূল্যবিহীন বা ঢালাও
বিতরন করা হয়নি।

একটা মাল্টিলেয়ার (চায়না) ডিভিডির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৬০(ষাট) টাকা আর
ভালো মানের ডিস্কের মূল্য ১২০-১৫০ টাকা। যেখানে আমরা বানিজ্যিক ভিত্তিতে তৈরী
করাতে পেরেছি এবং মূল্যে ভর্তুকি দিচ্ছি বলেই ডিস্কের মূল্য ৫০টাকার মধ্যে
সাধারন ব্যবহারকারীদের সরবরাহ করতে পাচ্ছি।

এখনো দেশের অনেক জায়গায় লিনাক্স প্রেমীরা আছেন যারা সিডি ডিভিডি বিতরনে আগ্রহী।
> এদের সাথে সমন্বয় করলে টাকা ছাড়াও ডিভিডি দেওয়া সম্ভব ।
>

কোন প্রজেক্টের "ইকোনমিক সাসটেইনিবিলিটি" নিয়ে ব্যবসায় প্রশাসনের ছাত্র হিসেবে
আপনারই সবচাইতে ভালো জানার কথা। আর নরমাল চায়না ডিভিডি আর সিলভার ডিস্কের
পার্থক্য নিশ্চয় জানা আছে আপনার?

বাংলাদেশের একজন প্রযুক্তিমনষ্ক এবং সচেতন নাগরিক হিসেবে এটুকুই বলতে চাই,
একসময় আমিও চায়না ডিভিডিতে রাইট করে মানুষকে দিতাম। কিন্তু যেদিন থেকে বুঝতে
শিখলাম যে প্রযুক্তি পন্যের বর্জ্যে একসময় পরিবেশগত দিক থেকে এ দেশকে কতটা
ক্ষতি করবে, ঠিক সেদিন থেকেই পরিকল্পনা ছিলো যদি কাউকে একটা ডিস্কও দিই তো সেটা
একটা মিনিমাম মানসম্পন্ন ডিস্ক হতে হবে। আর তারপর সেটা প্রথমবার নিজের পকেট
থেকে প্রায় কুড়িহাজার টাকা খরচ করে তৈরী করি এবং প্রজেক্টটা যেনো যে কোন
স্বেচ্ছাসেবী চাইলেই বহন করে নিয়ে যেতে পারে আজীবন সে লক্ষ্যে ঘোষনাও
দিয়েছিলাম।

টাকার কথা বাদ দিলে আপনাদের অবদান আরো মহৎ হবে । আপনাদের প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক
> বিভাগেই সদস্যরা আছেন । তাদের কাছে এই ডিভিডিগুলোর এক কপি দিয়ে দিন । তারা
> সবাইকে আইএসও কিংবা ডিভিডিতে কপি করে দিবে । যার লিনাক্স লাগবে তিনি সিডি বা
> ডিভিডি তার সাধ্যমত কিনে আনবেন সেটাতেই রাইট করে নিয়ে যাবেন । সারা দেশে না হোক
> বিভাগীয় শহরগুলোতে এটা বোধহয় করাই যায় ।
>

আমি দুঃখিত যে আপনি বারংবার টাকার কথা তুলে কি বোঝাতে চাইছেন। আমি একটা জিনিষ
পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই যে, পারলে এই প্রজেক্টের দ্বায়িত্ব নিজে বা দলগতভাবে
বুঝে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলুন কিংবা ফালতু বুলি কপচানো থেকে বিরত থাকুন। কেননা কাজ
করাটা কঠিন, সমালোচনা করা খুবই সহজ কাজ।

আমরা সবাই যেদিন থেকে *হাত পাতার* অভ্যাস ছেড়ে *হাত উপুড়* করার অভ্যাস করতে
পারবো সেদিন ফিরে আসবে এই জাতির সুদিন। আর তা নাহলে একদল শুধুই সময়ে-অসময়ে,
যেখানে-সেখানে বুঝে না বুঝে হাত পাততে চাইবেন আর সেই পেতে রাখা হাতে কিছু দেবার
কথা বলে রাজনৈতিক নেতা সহ বিভিন্ন মহল একদিকে পাঁচটাকা করে ধরিয়ে অন্যদিকে
পাঁচশ টাকার ঋনের সুদের বোঝা চাপিয়ে দেবেন। (ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, আইএমএফ আর এডিবি
সহ আন্তর্জাতিক দাতাদের ঋণ না নিয়ে কিভাবে দেশ চালাতে হয় সেটা আমাদের বিগত
তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেখিয়েছে এবং তখন দু'দুটো ঝড়, বন্যা সামলে, ভারতের
বাংলাদেশে চাল রপ্তানীর হটকারীতা এবং এদেশের সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ী মহলকে সামলে
নিয়েও কিন্তু এখনকার চাইতে দ্রব্যমূল্যের ঘোড়া নিয়ন্ত্রনে বেশী নিয়ন্ত্রিত
ছিলো)

পশ্চিমা বিশ্ব যখন বাংলাদেশকে সুযোগ পেলেই ভিক্ষুকের দেশ বলে খোঁচা মারে,
তলাবিহীন ঝুড়ি বলে বদনাম দেয় তখন ব্লগে- ব্লগে, ফোরামে - ফোরামে আর কাগজে-কলমে
পশ্চিমা বিশ্বের মতামতের বিরুদ্ধে বিশ্লেষন আর দেশের সরকারের বিরুদ্ধে
বাক্যবানের ঝড় না তুলে নিজের দেশকে উন্নত করার ক্ষেত্রে নিজের ক্ষেত্রে থেকে
এখন থেকেই প্রচেষ্টাটুকু চালান। এতে করে কার্যকরী ও টেকসই উন্নতির লক্ষ্যে
সক্রিয় পরিবর্তন দ্রুত সাধিত হবে।


> তবে সদস্যরা যদি নিজেদের শ্রমের বদলে অর্থ চান তাহলে সমস্যা হতে পারে।
> সেক্ষেত্রে বানিজ্যিকভাবে সিডি ডিভিডি বিতরন করা ছাড়া উপায় থাকবে না ।
>

এখানে কোন সদস্যই নিজের শ্রমের কোন মূল্যই নিচ্ছেন না এবং অতীতেও নেননি। বরংচ
শ্রমের সাথে সাথে নিজের আয় থেকে এই স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে ভর্তুকিও দিয়ে
যাচ্ছেন। ভিত্তিহীন মনগড়া কথা বলতে মনে চাইলে নাটকের স্ক্রীপ্ট লিখতে পারেন,
কিন্তু অনুগ্রহ করে কমিউনিটিতে বিতর্ক সৃষ্টির প্রয়াস নেবেন না।

লিনাক্স মিন্টের সবুজাভ রং আর তার কাস্টোমাইজড ডিভিডির কথা শুনলে কিন্তু আমারো
> সবুজ কাঁচের চশমার কথাই মনে পড়ে যায় । আমি আবার সাহিত্যে অত ভাল না। বিজ্ঞানের
> ছাত্র ছিলাম এইচএসসি পর্যন্ত । এখন ব্যবসায় প্রশাসনের । দুটো বিষয়ই কাঠ খোট্টা।
> এই রসহীনতার কারনে বান্ধবীদের কাছেও অপ্রিয় রয়ে গেলাম।
>
তবে আপনার বিগত মেইল থেকে একটা কথা ভাল লেগেছে -- "ঘর পোড়া গরু সিদুরে মেঘ দেখে
> ডরায়"। কে জানে, হয়ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এর ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর
> আমাদের অবস্থাও সেরকমই।
>

এ বিষয়ে আমার একটা
লেখা<https://toshazed.wordpress.com/2011/03/22/%E0%A6%85%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%8F%E0%A6%95/>ছিলো।
সময় করে পড়ে নেবেন। আশাকরি একপাক্ষিক ঢালাও মন্তব্যে নিজেকে পক্ষপাতদুষ্ট
প্রমানে উদগ্রীব হবেন না।

আর আপনার বোধহয় একটু জানার ঘাটতি আছে যে, লিনাক্স ফাউন্ডেশন থেকে লিনাক্স ও
ওপেনসোর্স নিয়ে প্রতিবছর যে কংগ্রেসসমূহ আয়োজিত হয় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে
সেখানে অংশগ্রহনের ফি রাখা হয় গড়েসড়ে ৫০০ ইউএস ডলার/জনপ্রতি। এবং ওই আয়োজন
গুলোতে স্পন্সর হিসেবে ইন্টেল, এএমডি, ক্যানোনিক্যাল, গুগল, মটোরোলার মতো
কর্পোরেটরাও থাকেন। পক্ষান্তরে আমাদের পেঙ্গুইন মেলার কিছু আয়োজনে ২০টাকা কর
অংশগ্রহন ফিস রাখাতে আপনারা কথার বান নিয়ে ছুটে আসতে দ্বিধা করেন নাই। কিন্তু
আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যে এই ২০টাকা নিয়ে যে আয়োজনগুলো করেছিলাম সেগুলোতে
প্রকৃত আগ্রহী আর ব্যবহারকারীরাই এসেছিলেন এবং টো-টো কোম্পানীর ম্যানেজারদের
আনাগোনা কম ছিলো। আর আমরা ওই টাকাটা কিন্তু সংগঠনের ফান্ডে যুক্ত করিনাই বরংচ
ওই টাকা দিয়ে আয়োজনে অংশগ্রহনকারীদেরকেই আপ্যায়িত (১টা সিংগাড়া+১গ্লাস
পানি+১কাপ চা) করা হয়েছিলো।

বছর সাতেক আগে "আলপিন" ম্যাগাজিনে একটা কৌতুক পড়েছিলাম --
একবার নরক পরিদর্শনে গিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। তো নরকের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন
গর্তের ভেতরে ফেরেশতারা বিভিন্ন দেশের শাস্তিপ্রাপ্ত নরকীদের শাস্তিবিধান
নিশ্চিত করছিলেন। তো একটা গর্তের কাছে গিয়ে দেখা গেলো প্রচুর নরকের রক্ষী ঘিরে
রয়েছে গর্তটাকে। তো সৃষ্টিকর্তা প্রধান নরককর্তা কে জিজ্ঞেস করলেন,
*সৃষ্টিকর্তা* -- এই গর্তে এতো কারারক্ষী কেন?
*নঃ কর্তা* -- মহামান্য, এখানে ইহুদী নরকীরা রয়েছেন। এঁরা এতটাই সহমর্মী আর
সহযোগী যে একজন নিজের পিঠ পেতে অন্যের মারটুকু খেয়ে নিচ্ছে আর পরে সুস্থ জনকে
এই গর্ত থেকে বের করে দিতে নিজের কাঁধে দাঁড় করিয়ে গর্তের উপরে ঠেলে দিচ্ছে।
তাই আমার প্রহরীরা এটা প্রতিহত করছে উপর থেকে।
*সৃষ্টিকর্তা* -- হুমম!
সৃষ্টিকর্তা এবার অন্য আরেকটা গর্তের কাছে গেলেন। ওখানে তো আরো প্রচন্ডরকমের
রক্ষীদের ভীড়। তাই দেখে আরো অবাক হয়ে সৃষ্টিকর্তা বলে উঠলেন -- কি হে! এখানে
কাদের কে রেখেছো?
*নঃ কর্তা* -- মহামান্য এখানে রয়েছেন ভারতীয় নরকীরা। এঁরা প্রচন্ড রকমের বদ।
এঁরা ইহুদীদের চাইতে কোন অংশে কমতো নয়ই বরংচ এঁরা পারলে শাস্তি থেকে বাঁচতে
আমার রক্ষীদেরকেই ঢাল বানিয়ে নিতে উদ্যত হয়। আর তাই এখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক
রক্ষী মোতায়েন করতেই হচ্ছে।
*সৃষ্টিকর্তা* -- তাহলে অন্যান্য গর্তগুলোর নিরাপত্তার কি হচ্ছে? ওখান থেকে কেউ
পালিয়ে যাচ্ছে না?
*নঃ কর্তা* -- মহামান্য, বাকীগুলোর প্রায় প্রতিটাতেই রয়েছে এক বা একাধিক
বাংলাদেশী নরকীরা। এরা নিজেরা মারের হাত থেকে বাঁচতে কাউকে না কাউকে ফাঁসিয়ে তো
দেয়ই তদুপরি যদি কেউ গর্ত থেকে পালাতে চায় তো সে ব্যাটার খবরই আছে। বাংলাদেশী
নরকী/রা ও ব্যাটার পা ধরে ঝুলে পড়বেই।  ওঁদের একটাই বক্তব্য - "ব্যাটা আমি
গর্তে পড়ে পড়ে একটা মার খাবো আর তুই কিনা স্বজাতি (মানুষ) হয়ে মউজ করবি? ও
হচ্ছে না। মার যখন খাবো তো তোকেও এর ভাগ নিতেই হবে।"
*সৃষ্টিকর্তা* -- হুমম!!! ও ব্যাটারা দুনিয়াতে যেমনটা ছিলো এই নরকে এসে ঠিক
তেমনটাই রয়ে গেছে। সব দেশের নাগরিকরাই শাস্তি মেয়াদ শেষে ধীরে ধীরে জান্নাতে
দাখিল হচ্ছেই। কিন্তু এ ব্যাটাদের একটাকেও আজ পর্যন্ত জান্নাতে দেখা যায়নি।
চাবকাও ব্যাটাদের। ওরা নিজেরাই নিজেদের উন্নতি আর সফলতা সহ্য করতে পারে না তো
আমি কি করবো? চালাও চাবুক, পেটাতে থাকো ততক্ষন যতক্ষন না এঁদের মানসিকতায়
পরিবর্তন না হয়।

অনেক অফটপিক বিষয়াদি লিখলাম। আপনাদেরকে বিরক্ত করে থাকলে দুঃখিত।

ধন্যবাদ সবাইকে।
-- 
রিং
+8801671411437

মহাসচিব
ফাউন্ডেশন ফর ওপেন সোর্স সলিউশনস বাংলাদেশ

প্রধান সমন্বয়ক, "পেঙ্গুইন মেলা -
২০১১<http://www.fossbd.org/index.php/19-sample-data-articles/joomla/35-professionals>"
।। ব্যক্তিগত ব্লগঃ রিং-দ্য ডন 'র ব্লগ <http://toshazed.wordpress.com/> ।।
সদস্য, লিনাক্স মিন্ট বাংলাদেশ <http://linuxmint-bd.org/about_us> ।।
সদস্য, উবুন্টু
বাংলাদেশ <https://launchpad.net/%7Etoshazed>
-- 
Ubuntu Bangladesh
https://lists.ubuntu.com/mailman/listinfo/ubuntu-bd

Reply via email to