অফটপিক:
=======
যদিও বর্তমান আলোচনার যেদিকে অগ্রগতি হচ্ছে তাতে আমার আগ্রহ খুবই কম। তবুও
একটা পোস্টে আমার নাম চলে এসেছে তাই কিছু বলতেই হচ্ছে। রিং বলছেন:
"আর তাই ওই সময় শাবাবই আমাকে পরামর্শ দেয় যে, "আপনি উবুন্টু বাংলাদেশের পক্ষ
থেকে
ওঁদের সাথে কথা বলুন।"

ঘটনাটি আসলে এইরকম ঘটেনি। যে সময়ের ঘটনা সেটা বন্টু-মিন্টুর আড্ডার তিন-চারদিন
আগের কথা। সাজেদুর রহিম জোয়ারদার সাথে জেড এম মেহেদী হাসানের সাথে
ওয়ার্ল্ডকমের অফিসে গিয়ে বসেছিলেন। এই সাক্ষাতের মূল কন্ট্যাক্ট ছিলেন মেহেদী
ভাই। যখন বসেছিলেন তখনও জোয়ারদার সাহেব সেখান থেকেই আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছেন
তারা দুজন অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য বসে আছেন। যারা অতীতে এবং বর্তমানে তার সাথে
ফিল্ডে কাজ করেছেন তারা জানবেন তিনি যখন কোন কারণে উত্তেজিত থাকেন তিনি যখন
লোকজনকে বেশ ঘন ঘন ফোন দেন এবং ফোন দিয়ে অনেকক্ষণ কথা বলেন। যাইহোক, ফোন তারা
দুজন বসে আছেন এটা জেনেছি।

ওইদিনই বিকেলে তিনি এবং মেহেদী ভাই আমার তৎকালীন কর্মক্ষেত্র শেওড়াপাড়া
(মিরপুর) আসেন এবং সেখানে বলেন যে তারা বেশ কিছুক্ষণ মিটিং করেছেন এবং
ওয়ার্ল্ডকমের সাথে একটি চুক্তি করতে হয়েছে। ওয়ার্ল্ডকম ব্যক্তির সাথে চুক্তি
করতে চাচ্ছিল না তাই উপায়ন্ত না দেখে "উবুন্টু বাংলাদেশের পক্ষে সাজেদুর রহিম
জোয়ারদার, সমন্বয়ক, প্রকাশনা ও বিপনন" এইরকম একটা কিছু দেখিয়ে চুক্তিটি পূর্ণ
করতে হয়েছে। এই কথা যখন হচ্ছিল তখন ভাষাটা ছিল, 'ভাই মাইন্ড করো না, ব্যাপারটা
এইরকম করতে হয়েছে'। উল্লেখ্য, উবুন্টু বাংলাদেশের এইরকম কোন প্রকাশ্য কিংবা
অপ্রকাশ্য পদ নেই। তার যে সময়ের কথা সেসময় আমি উবুন্টু বাংলাদেশের লোকো টিম
কন্টাক্টও ছিলাম না। কারণ, আমি টিম কন্ট্যাক্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলাম
বন্টু-মিন্টুর আড্ডার পর। এর আগ পর্যন্ত আমি সাধারণ একজন সদস্যই ছিলাম। ওইরকম
কিছুর অনুমোদন দেবার মত ক্ষমতা সাংগঠনিকভাবেও আমার ছিল না। অপরদিকে
বন্টু-মিন্টুর আড্ডার আরো ঝামেলায় ব্যস্ত থাকায় এবং যেহেতু তিনি একটা জিনিস
করে ফেলেছেন তাই সেই সময় আমি আর এটা নিয়ে বেশি ভাবিনি। সেইদিনই তিনি আরো
উৎসাহের সাথে এই পদ দিয়ে উবুন্টু বাংলাদেশের নামে একটা সিল বানাবার প্রস্তাবও
দিয়েছিলেন এবং সেটা আমি শক্তভাবে নিৎসাহিত করেছিলাম। এইসব আলাপচারিতা যখন
হচ্ছিল তখন সেখানে জেড এম মেহেদী হাসান এবং আমার তৎকালীন সহকর্মী, যিনি
উবুন্টু বাংলাদেশের একজন ভলান্টিয়ার, অনুপম সিংহ উপস্থিত ছিলেন। ঘটনা স্মরণ
করতে আমি যদি ভুল করে থাকি তবে তারা আমায় শুধরে দিতে পারবেন।

অর্থাৎ 'ওই সময় শাবাবই আমাকে পরামর্শ দেয়' এই বাক্যটি মোটেই সঠিক নয়। যারা
সাজেদুর রহিম জোয়ারদারের সাথে ফিল্ডে কাজ করেছেন তারা নিশ্চয়ই তার নিজের মুখে
থেকেই শুনেছেন যে তিনি বেশ অসুস্থ এবং তার অনেক সময় অনেক কিছুই মনে থাকে না।
তার এই মনে না থাকা এবং পরবর্তীতে বর্ণনার মাঝে এইরকম ছোট ছোট ভুলগুলোই
পরবর্তীতে বড় বড় বিতর্কের জন্ম দেবার সুযোগ দেয়। কাছাকাছি রকম ঘটনা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেও ঘটেছে।

ইতিমধ্যেই কথা উঠেছে ব্যক্তিগত ঘটনা কেন লিস্টে আসছে এবং এতে অনেকেই বেশ
বিরক্ত হচ্ছেন, অতীতেও হয়েছেন। তাই এইসব কথা আমি যত সম্ভব পাবলিকলি আলোচনা করি
না। পূর্বে এই লিস্টের বাইরে আমাকে কয়েকজন আমাকে বেশ কড়া ভাষাতেই প্রশ্ন
করেছেন, একসময় যার সাথে একেবারে গলায় গলায় ভাব ছিল তার প্রতি হঠাৎ করেই আমার
কথাবর্তায় এত উল্টো বৈরি কেন? উত্তরটা সহজ, আগে আমার একটা দোষ ছিল যে আমি কারো
কথার সাথে কাজে মিল না পেলে অল্পেই বেশ প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে পড়তাম। তাই বিভিন্ন
সময় আমার কথায় বিরক্তির সুর এবং অবিশ্বাস পাওয়া গেছে। আমি ধীরে ধীরে এই
ক্ষয়কারী দোষ থেকে মুক্ত হবার চেষ্টা করছি এবং অপরের দোষের আগে নিজের দোষগুলো
খুঁজে পাবার দিকে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করছি।

বিতর্ক উসকে দেওয়া আমার পোস্টের উদ্দেশ্য নয়। আমি স্রেফ ঘটনা যা ঘটেছে তাই
বললাম। আশাকরি এই বিতর্ক এখানেই থেমে যাবে এবং আমরা নিজেরা অনর্থক নিজেদের সময়
নষ্ট করা থেকে বিরত হব।

---
Shabab Mustafa
-- 
Ubuntu Bangladesh
https://lists.ubuntu.com/mailman/listinfo/ubuntu-bd

Reply via email to